সেন্টমার্টিনে ৯ মাস পর্যটক যাতায়াত বন্ধ - হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত - Present Bangla
সেন্টমার্টিনে যে কোনো ধরনের পর্যটক যাতায়াত আজ শনিবার থেকে বন্ধ করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনার অংশ হিসেবে আগামী ৯ মাস দ্বীপে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে, পাশাপাশি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে।
পরিবেশ রক্ষায় নতুন সিদ্ধান্ত
এর আগে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করা হয় এবং পর্যটক সংখ্যা সীমিত করা হয়। পরিবেশবিদদের মতে, এই বিধিনিষেধের ফলে দ্বীপে প্লাস্টিক দূষণ, প্রবাল-কোরাল ও পাথর উত্তোলন হ্রাস পেয়েছে, যা পরিবেশের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে এনেছে।
পরবর্তী পরিকল্পনা
সেন্টমার্টিন সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর মাসব্যাপী কর্মসূচি পরিচালনা করবে, যার মধ্যে থাকছে:
- দ্বীপ পরিষ্কার অভিযান, যেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
- বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ।
- বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প।
- স্থানীয় জনগণকে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সচেতন করা।
প্রশাসনের তৎপরতা
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিশেষ কর্মসূচি শুরু হবে। এছাড়া, পর্যটন বন্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
পরিবেশবাদীদের মতামত
পরিবেশবিদদের মতে, অবৈধ হোটেল-রিসোর্ট নির্মাণ এবং অতিরিক্ত পর্যটক চাপ দ্বীপের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ছিল। পর্যটন সীমিত করার ফলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সহজ হবে।
সেন্টমার্টিন: সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা
- ১৯৯৯ সালে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
- ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি ১,৭৪৩ বর্গকিলোমিটার সাগর অঞ্চল সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
- গবেষণা সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, রাতযাপনের অনুমতি বাতিল করা হতে পারে।
স্থানীয়দের দাবি
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা মনে করেন, পর্যটন নিষেধাজ্ঞার আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরি করা জরুরি।
সরকারের নেওয়া নতুন পদক্ষেপ দ্বীপের পরিবেশের জন্য ইতিবাচক হলেও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
AP/